ঘামাচি তাড়ান এভাবে-China Radio International
মসুর ডাল ও কাঁচা হলুদের পেস্ট: দুই থেকে চার ঘন্টা মসুর ডাল ভিজিয়ে রেখে তার সঙ্গে ডালের চার ভাগের এক ভাগ পরিমাণ কাঁচা হলুদ নিয়ে বেটে বা ব্লেন্ড করে পেস্ট বানিয়ে নিন। এরপর সে পেস্ট ঘামাচি-আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে মিনিট দশেক রাখুন। দূর হবে ঘামাচি।
বেসন-মধু থেরাপি: ঘামাচির জ্বালা থেকে বাঁচতে দারুণ কার্যকরী এই থেরাপি। বেসন, গোলাপজল ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে ত্বকের ঘামাচি-আক্রান্ত অংশে লাগান। মিনিট কুড়ি পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। এতে সহজেই ঘামাচি কমে যাবে।
মুলতানি মাটি: ঘামাচি সমস্যা উপশমে মুলতানি মাটি বেশ কার্যকর। চার চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে ১ চামচ গোলাপজল ও পরিমাণ মতো পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এরপর সে পেস্ট ত্বকের ঘামাচি-আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে মিনিট বিশেক রাখুন এবং তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এ ভাবে দিনে বার দুয়েক লাগালে ঘামাচি থেকে সহজে মুক্তি মিলবে।
বেকিং সোডা: বেকিং সোডা ঘামাচি সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে ভাল কাজ করে। এক কাপ ঠাণ্ডা পানিতে এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা গুলিয়ে একটি পরিষ্কার কাপড় সে পানিতে ভিজিয়ে ঘামাচি-আক্রান্ত স্থানে লাগান। বেশ উপকার পাওয়া যাবে।
শসা থেরাপি: ঘামাচির চুলকানি দূর করতে শসা বেশ কার্যকরী। শসা পাতলা পাতলা করে কেটে ভাল করে ঘামাচি-আক্রান্ত স্থানে ঘষুণ। মিনিট ত্রিশেক পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ফিটকিরি: ফিটকিরি আরেকটা উপাদান যেটি ঘামাচির জ্বালা উপশমে ভাল কার্যকর। খানিকটা পানির মধ্যে ফিটকিরি গুলিয়ে তারপর সে মিশ্রণটিতে এক টুকরা পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে গায়ে লাগান। ঘামাচি দূর হবে সহজে।