সমুদ্রের গভীরের রহস্য উন্মোচন করবে চীনের এই জাহাজ
নভেম্বর ১৮, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: সমুদ্রের গভীরে গিয়ে খনন করতে সক্ষম বিশ্বের প্রথম গভীর-সমুদ্র বৈজ্ঞানিক ড্রিলিং জাহাজ তৈরি করলো চীন। জাহাজটির নাম মেং সিয়াং। এটি সমুদ্রের প্রায় ১১ কিলোমিটার গভীরে পর্যন্ত খনন করতে পারবে। এর ফলে চীনের বিজ্ঞানী সমুদ্রে গভীরে গিয়ে গবেষণা করতে পারবেন এবং আমরা সমুদ্রের অনেক রহস্য জানতে পারব।
গত রবিবার দক্ষিণ চীনের কুয়াংচৌতে এই জাহাজের উদ্বোধন করা হয়। সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ও ভাইস প্রিমিয়ার হ্য লিফং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং প্রেসিডেন্ট সির অভিনন্দন পত্র পাঠ করেন।
মেং সিংয়াং জাহাজটি বিশ্বের প্রথম গভীর-সমুদ্র বৈজ্ঞানিক ড্রিলিং জাহাজ। এটি তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান এবং প্রাকৃতিক গ্যাস হাইড্রেট অনুসন্ধানে কাজ করবে। সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তি তৈরি এই জাহাজটির দৈর্ঘ্য ১৭৯ দশমিক ৮ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ৮ মিটার। সমুদ্রের ১৫ হাজার নটিক্যাল মাইল অঞ্চলে ১২০ দিনে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালাতে সক্ষম এই জাহাজ । এতে ১৮০ জন থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।
চীনের জিওলজিকাল সার্ভের অধিভুক্ত কুয়াংচৌ মেরিন জিওলজিকাল সার্ভের উৎপাদন তত্ত্বাবধান দলের সদস্য ওয়াং মিংসিন বলেন, ‘এটি বিশ্বের প্রথম হাইড্রোলিক লিফটিং রিগ, যা তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান এবং কোর স্যাম্পলিং উভয় কাজ করতে সক্ষম। এটি ১১ মিটার গভীর পর্যন্ত ড্রিল করতে পারে। চীনের নাগরিকদের উপযোগী করে এর কোর স্যাম্পল সিস্টেম ডিজাইন করা হয়েছে। এছাড়া জাহাজটিতে বিভিন্ন ধরনের শিলা, নরম শিলা থেকে গভীর সমুদ্রের কঠিন শিলা পর্যন্ত উপযুক্ত বহুমুখী ড্রিল বিট রয়েছে। এতে রয়েছে সবচেয়ে উন্নত এবং অত্যন্ত সমন্বিত ড্রিলিং সিস্টেম।’
বাহনটিতে নয়টি উন্নত পরীক্ষাগার রয়েছে। এতে ভূতত্ত্ব, প্যালিওম্যাগনেটিজম, সূক্ষ্মজীববিজ্ঞান এবং সমুদ্র বিজ্ঞানের মতো ক্ষেত্রগুলো অন্তর্ভুক্ত।
প্রথাগতভাবে এতদিন বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান পৃথিবীর পৃষ্ঠতলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, যার গড় পুরুত্ব ১৫ কিলোমিটার। কিন্তু ভূপৃষ্ঠের গভীরে বিশেষ করে সমুদ্রের গভীরে গবেষণায় নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে এই জাহাজটি।
শুভ/শান্তা
তথ্য ও ছবি: সিসিটিভি