বাংলা

বাংলাদেশের প্রথম এসপিএম সিস্টেম পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পাচ্ছে চীনা কোম্পানি

CMGPublished: 2024-11-16 17:18:15
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

নভেম্বর ১৬, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশের কক্সবাজারের মহেশখালীতে দেশটির প্রথম সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং বা তরল পদার্থ খালাস সিস্টেম পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ‘চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডকে’ জিটুজি-ভিত্তিতে (গভর্নমেন্ট-টু-গভর্নমেন্ট) নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

এ প্রসেঙ্গ সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, চীনা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এ কোম্পানির সঙ্গে প্রকল্পটি এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। এসপিএম দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় পড়ে রয়েছে। এটি আপাতত চীনা কোম্পানির মাধ্যমে চালু করা হবে। পরে আমরা আমাদের নিজস্ব লোকবলকে প্রশিক্ষণ দেব। কাজটি দ্রুত করার জন্যই জিটুজি পদ্ধতিতে যেতে হচ্ছে।

বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণের জন্য আমদানি করা জ্বালানি তেল (পেট্রোলিয়াম) খালাস দ্রুত, সহজ ও সাশ্রয়ী করার জন্য ইন্সটলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইদ ডাবল পাইপলাইন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। মাতারবাড়ি থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ভাসমান স্থাপনাটি ১১০ কিলোমিটার দীর্ঘ ডবল পাইপলাইনের মাধ্যমে সংযুক্ত—এর ৭৩ কিলোমিটার সমুদ্রে এবং বাকি ৩৭ কিলোমিটার ভূমিতে। এ পাইপলাইনটি দিয়ে সমুদ্রে থাকা বড় জাহাজ থেকে মহেশখালীতে স্টোরেজ ট্যাঙ্কে পরিশোধিত তেল ও ডিজেল পরিবহন করা হবে।

তবে, অপারেটর নিয়োগে দেরির কারণে মার্চ মাসে চালু হওয়ার পর থেকে আট হাজার ২৯৮ কোটি টাকার এ সিস্টেমটি সাত মাস ধরে নিষ্ক্রিয় পড়ে ছিল।

বর্তমানে, আমদানিকৃত পেট্রোলিয়াম তেল গভীর সমুদ্র থেকে লাইটারেজ জাহাজের মাধ্যমে উপকূলে পরিবহন করা হয় এবং সারাদেশের স্টোরেজ স্থাপনাগুলোতে বিতরণ করা হয়।

শুভ/ফয়সল

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn