বয়স্ক জনগোষ্ঠী নিয়ে চীনা নীতির প্রশংসা করেছে ইউএনএফপিএ
নভেম্বর ১০, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: বয়স্ক জনগোষ্ঠীর অর্থনীতি তথা সিলভার ইকনোমিকে সমর্থন করার বিষয়ে চীনের দূরদর্শী নীতির প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের এশিয়া-প্যাসিফিক আঞ্চলিক পরিচালক পিও স্মিথ। তিনি বলেছেন, নীতিগুলো সরকারি ও বেসরকারি খাতকে একীভূত করে একটি ব্যাপক ন্যায়সঙ্গত পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা হচ্ছে।
বুধবার শাংহাইয়ে হংছিয়াও ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামের ‘আ শেয়ার্ড সিলভার ইকোনমি: নিউ অপরচুনিটিস ইন এন এজিং সোসাইটি‘ শীর্ষক থিমে অনুষ্ঠিত একটি সাব-ইভেন্টে চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন স্মিথ। ৫ থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত চলমান ৭ম চায়না ইন্টারন্যাশনাল ইমপোর্ট এক্সপো চলাকালে হংছিয়াও ফোরাম অনুষ্ঠিত হয়।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বার্ধক্যের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন স্মিথ, যে জনগোষ্ঠী এখন বিশ্ব জনসংখ্যার ৬০ ভাগ।
স্মিথ বলেন, সিলভার অর্থনীতি বিশ্ব অর্থনীতির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ সুবিধা গ্রহণ করে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, যাতে বয়স্কদের জন্য নানা সমাধান এবং তাদের বিভিন্ন চাহিদা মেটানো যায়। বিশ্বে এখন এ খাতের বাণিজ্য প্রায় ১৫ ট্রিলিয়ন ডলার বলেও জানান তিনি।
২০২৩ সালের শেষ নাগাদ, চীনে ৬০ বছর বা এর বেশি বয়সী জনসংখ্যা ছিল ২৯ কোটি ৭০ লাখ। ২০৫০ সাল নাগাদ সংখ্যাটা ৫০ কোটির কাছাকাছি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চীন সরকার এই বছরের জানুয়ারিতে সিলভার ইকনোমির বিকাশে প্রথম নীতিমালাটি চালু করেছে, যাতে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করা যায়।
স্মিথ বলেন, চীন সরকারের দূরদর্শী নীতির প্রশংসা করতেই হয়। সিলভার অর্থনীতি নিয়ে চীনের মডেলটি দেখার এবং তা থেকে ভালো কী কী করা যায় তা দেখার জন্য অন্যান্য উদীয়মান অর্থনীতির জন্য একটি বাস্তব সুযোগ দিচ্ছে চীন। এ নিয়ে ইউএনএফপিয়ে চীনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বলেও জানান তিনি।
২০৭০ সালের দিকে বিশ্বজুড়ে ৬৫ বছর বা এর বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা ২২০ কোটিতে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হয়েছে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে।
ফয়সল/শুভ
তথ্য ও ছবি: সিসিটিভি