বাংলা

প্রুন চাষে এসেছে সাফল্য

CMGPublished: 2024-09-19 18:32:35
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

সেপ্টেম্বর ১৯, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: চীনের সিনচিয়াং অঞ্চলে নানা রকম ফলের দেখা মেলে। বরই বা প্লাম ফল এখানে প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত হয়। বরইকে শুকিয়ে বানানো হয় প্রুন প্লাম। এই প্রুন প্লাম বা শুকনো বরই এখন সিনচিয়াংয়ের ফল চাষীদের মুখে এনে দিয়েছে স্বচ্ছলতার হাসি।

ফলবাগান। সারি সারি গাছ। গাছে ধরে আছে প্লাম ফল বা বরই ধরনের রসালো ফল। সাধারণত শুকনো প্লামকে প্রুন বলা হলেও এখন এই ধরনের ফলগুলোকে সরাসরি প্রুন নামেও ডাকা হয়। সিনচিয়াংয়ের কাশগর সিটির ফলবাগানগুলোতে চাষ হচ্ছে প্রুন করার জন্য প্লাম ফল।

সিনচিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ইয়াং সেন বলেন ‘ ১৯৯৬ সাল থেকে আমরা ডজনের বেশি জাতের প্রুন উৎপন্ন করেছি। স্থানীয় পিচ গাছের সঙ্গে গ্রাফটিং করে সিনচিয়াংয়ের জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক জাত বের করেছি।’

শুকনো ফল বাজারজাত করে লাভের মুখ দেখেছেন চাষীরা। ২০২৪ সালে চিয়াশি কাউন্টি সবচেয়ে বড় প্রুন উৎপাদনকারী কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ৩৮ হাজার হেকটর জমিতে প্লাম চাষ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ৩ লাখ ৫০হাজার টন প্রুন পাওয়া যাবে। এরফলে এই কাউন্টির মাথাপিছু আয়ে যুক্ত হবে আরও ২১০০ মার্কিন ডলার। আগামি বছর প্রুনের মোট উৎপাদন মূল্য ৪.৪ বিলিয়ন ডলারে পৌছাবে।

তুজিলুকে গ্রামের কমিটি সেক্রেটারি আলিচিয়াং মাইমাইত বলেন ,‘ আমাদের গ্রামে ২০০ হেকটর জমিতে প্রুন চাষ হয়েছে। সরবরাহকে ছাড়িয়ে গেছে এ বছরের চাহিদা। কোম্পানিগুলো সরাসরি গ্রামে এসে কিনে নিয়ে যায়। আগামি বছর আমরা আরও ২০ হেকটর জমিতে প্রুন চাষ করবো।’

আগস্ট সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই পাকা প্রুন সংগ্রহ করা হয়। তিন থেকে সাতদিন সাধারণ তাপমাত্রায় এগুলো রাখা হয়। নিম্ন তাপমাত্রায় দুই থেকে তিন মাস সংরক্ষণ করা হবে।

চিয়াশি কাউন্টিতে স্থানীয় শিল্পপার্ক স্থাপন করা হয়েছে। এখান থেকে প্যাকেজিং, প্রসেসিং সম্পন্ন করে বাজারে পাঠানো হয়। তাজা ফল যেমন প্যাকেটজাত করে সারা দেশে সরবরাহ করা হয় তেমনি বেশ কয়েকটি প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা রয়েছে। এখানে শুকনো ফল প্রক্রিয়াজাতকরণ হয়। এছাড়া জুস, পাল্প এগুলো তৈরি হয়। প্রুন জুস তৈরি করেছেন গবেষকরা। স্বাস্থসচেতনরা সাদরে গ্রহণ করেছেন এই পানীয়।

কুয়াংতোং প্রদেশের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতায় এই প্রসেসিং জোন এবং কারখানাগুলো গড়ে তোলা হয়েছে।

ইয়াং চিয়ানকুয়াং, সদস্য, , সিনচিয়াংকে সমর্থনকারী কুয়াংতোং কর্মী দল। তিনি বলেন, ‘প্রুন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এবং হজমে সাহায্য করে। আমরা একটি গবেষণা দল তৈরি করেছি। প্রুনের স্বাস্থ্য সুবিধাগুলো খুঁজে বের করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে আমরা এ সম্পর্কিত স্বাস্থ্যপণ্য উৎপন্ন করার পরিকল্পনা করছি।’

ই কমার্সের মাধ্যমে চাষীরা প্রুন বাজারজাতকরণে সাফল্য পেয়েছেন। সরাসরি বাগান থেকে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে তাজা ফল। কারখানা থেকে শুকনো প্রক্রিয়াজাত পণ্য।

কাশগরের ফলচাষীদের মুখে ফুটেছে সাফল্যের হাসি।

শান্তা/মিম

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn