চীনে আঘাত হানলো ভয়াবহ ঝড়, আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ লাখ মানুষ
সেপ্টেম্বর ৭, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: হাইনান প্রদেশের পর এবার চীনের কুয়াংতোং প্রদেশের স্থলভাগে আছড়ে পড়েছে সুপার টাইফুন ইয়াকি। ভয়াবহ এ ঝড়টি শুক্রবার রাতে আঘাত হানে। ঝড়ের কারণে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বাতিল করা হয়েছে সব ধরনের ফ্লাইট।
প্রাদেশিক আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে হাইনান প্রদেশের ওয়েংথিয়ান টাউনশিপে প্রথমবার আঘাত হানে ইয়াকি। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৩৪ কিলোমিটারেরও বেশি। এরপর কুয়াংতোং প্রদেশের চানচিয়াংয়ের সুওয়েন কাউন্টিতে রাত ১০টা ২০ মিনিটে আঘাত হানে। দ্বিতীয়বার স্থলভাগে আঘাত হানার সময় এর কেন্দ্রে সর্বোচ্চ বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ২০৮.৮ কিলোমিটার।
এর আগে প্রদেশের প্রায় এক মিলিয়ন মানুষকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে শুক্রবার বিকালে কুয়াংতোংয়ের ৫ লাখ ৭৪ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা এবং হাইনানের ৪ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৭ বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। প্রদেশের ৮৪ হাজার ৮৭৩টি মাছ ধরার নৌকা বন্দরে নোঙর করেছে।
এছাড়া কুয়াংতোংয়ের ৯৪টি নৌপথের মধ্যে ৭২টিতে চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। বাতিল করা হয়েছে ১৪১ জোড়া হাইস্পিড ট্রেন। হাইনানজুড়ে ৮৯টি পর্যটন কেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে এবং একাধিক শহরে সড়ক, সেতু ও টানেলের যান চলাচল অস্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে হাইনানে সুপার টাইফুন ইয়াকির আঘাতের পর উদ্ধার ও পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে হাইনানের উত্তরাঞ্চলে প্রচণ্ড বাতাসে উপড়ে পড়া গাছপালা সরানো এবং কিছু শহর ও জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় সচলে কাজ করছেন কর্মীরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘরের ভিতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রদেশে কিছু অংশে বন্যা সতর্কতা জারি করেছে দেশটির পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
ক্যাটাগরি ৫ মাত্রার আটলান্টিক হারিকেন বেরিলের পর, ২০২৪ সালে টাইফুন ইয়াকিকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের তালিকায় দ্বিতীয় হিসেবে নিবন্ধিত করা হয়েছে।
শুভ/ফয়সল
তথ্য ও ছবি: সিসিটিভি