বাংলা

চীন-ভারতের পার্থক্যগুলো সঠিকভাবে সামলাতে হবে: ওয়াং ই

CMGPublished: 2024-07-26 18:59:55
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

জুলাই ২৬, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: চীন ও ভারতের উচিত যার যার মতপার্থক্যকে সঠিকভাবে সামলানো এবং পারস্পরিক উপকারী সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তোলা। বৃহস্পতিবার লাওসের রাজধানী ভিয়েনতিয়েনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্করের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ওয়াং ই এ মন্তব্য করেন।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমান জটিল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি এবং গুরুতর বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় চীন ও ভারত দুটি প্রধান উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারবে। তিনি আরও বলেন, দুটি দেশ দুটি বড় উদীয়মান অর্থনীতি, যারা একে অপরের প্রতিবেশীও। প্রত্যেকের উচিত আলোচনা ও যোগাযোগ জোরদার করা এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া ও বিশ্বাস বাড়ানো।

ওয়াং আরও বলেন, দুটি প্রাচীন সভ্যতা হিসেবে চীন ও ভারতের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা রয়েছে। দেশ দুটিকে নিজেদের মতপার্থক্যগুলোকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে ওই প্রজ্ঞার প্রতিফলন দেখাতে হবে এবং গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোর মাঝে ঐক্য, সহযোগিতা ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার ক্ষেত্রে সেটার ছাপ থাকতে হবে বলেও জানান ওয়াং।

ওয়াং জোর দিয়ে বলেন, চীন-ভারত সম্পর্ক সঠিক পথে ফিরে এলে তা উভয় পক্ষের এবং গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোর স্বার্থেই কাজ করবে।

জয়শঙ্কর বলেন, ভারত ও চীন দুটি প্রধান উদীয়মান অর্থনীতি এবং দুটি প্রাচীন সভ্যতার দীর্ঘ ইতিহাসের ধারক। তাই দুই দেশের সম্পর্কের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা উভয় পক্ষের স্বার্থের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং আঞ্চলিক শান্তি রক্ষা এবং বহুত্ববাদের প্রচারেও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, ভারত ও চীনের ব্যাপকভাবে পরস্পরের সঙ্গে জড়িত স্বার্থ রয়েছে। তবে সেই স্বার্থে পড়েছে সীমান্ত পরিস্থিতির ছায়া। ভারতীয় পক্ষ এ মতপার্থক্যের সমাধান খুঁজতে এবং সম্পর্ককে ইতিবাচক ও গঠনমূলক ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনতে ইচ্ছুক বলেও জানান জয়শঙ্কর।

উভয় পক্ষ সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে এবং সীমান্ত বিষয়ক পরামর্শে নতুন অগ্রগতির জন্য একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।

উভয় পক্ষ বলেছে, তারা পূর্ব এশিয়া সহযোগিতা প্ল্যাটফর্ম, শাংহাই সহযোগিতা সংস্থা, গ্রুপ অব টোয়েন্টি, ব্রিকস এবং অন্যান্য কাঠামোর মধ্যে যোগাযোগ জোরদার করবে, যৌথভাবে বহুপাক্ষিকতা অনুশীলন করবে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর বৈধ অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা করবে।

ফয়সল/শান্তা

তথ্য ও ছবি: সিজিটিএন

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn