ঢাকায় চীনের জাতীয় দিবস উদযাপন: দু’দেশের ঐতিহ্যিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার
১ অক্টোবর গণচীনের ৭৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীকে সামনে রেখে ঢাকায় জাঁকজমকপূর্ণ উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চীনা দূতাবাস। পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে শনিবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের তিন জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূতসহ বাংলাদেশ ও চীনের সংশ্লিষ্ট মহলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, ব্যবসায়ী নেতা, সাংবাদিক, গবেষক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন্।
সন্ধ্যায় মূল অনুষ্ঠানে অতিথিদের স্বাগত জানান ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। স্বাগত বক্তব্যে চলমান পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে চীন ‘নিজস্ব সমাধান’ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি। বলেন, শান্তি উন্নয়ন, সমতা, ন্যায্যতা, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার ক্ষেত্রে ‘মানবতার সার্বজনীন মূল্যবোধকে’ চীন লালন করে। একইসঙ্গে যে কোনো ধরনের ‘স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা’, ‘দলবদ্ধ বিরোধ’ অথবা ‘একতরফা নিষেধাজ্ঞাকে’ চীন প্রত্যাখ্যান করে বলেও উল্লেখ করেন লি জিমিং।
বাংলাদেশকে চীনের পুরনো ও ভালো বন্ধু হিসেবে অভিহিত করেন দেশটির রাষ্ট্রদূত। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও আশ্বস্ত করেন লি জিমিং। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের চীনে ফিরিয়ে নিতে চার্টাড ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও অভ্যাগতদের জানান চীনা রাষ্ট্রদূত।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাংলাদেশের পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান দু’দেশের বন্ধুত্বের দীর্ঘ ইতিহাসের কথা স্মরণ করেন। বাংলাদেশের উন্নয়নে চীনের অবদান এ দেশের সরকার ও জনগণ গুরুত্বের সঙ্গে মূল্যায়ন করে বলে জানান তিনি। ভবিষ্যতেও তথ্য-প্রযুক্তি, অবকাঠামো উন্নয়নসহ নানা ক্ষেত্রে চীনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। একচীন নীতির প্রতি বাংলাদেশের পূর্ণ সমর্থনের কথাও পুনরায় জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।