৬০ এর দশকে চীনের গ্রাম্য জীবন ছিল অত্যন্ত কঠিন। বিদ্যুৎ ছিলনা, মোটরচালিত যান ছিলনা। ছিলনা যান্ত্রিক কোন সরঞ্জাম। কিশোর সি জমিতে সার দেওয়া শিখেছেন, বাঁধ তৈরি করেছেন, শিখেছেন কীভাবে রাস্তা মেরামত করতে হয়। গুহায় অন্য তিনজনের সাথে সি ছার পোকা আক্রান্ত ইটের বিছানায় ঘুমাতেন। তাদের একজন লুই হৌ সেং। তিনি একজন কৃষক। ২০১৫ সালে বিদেশী এক গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমরা তখন যা খেতে পেতাম তা হল শুধু বাপে তৈরি বনরুটি সাথে জাউ আর শাক। তীব্র ক্ষুধায় তা-ই মনে হত অমৃত।
রাতে গুহায় ফিরে সি কেরোসিনের বাতি জ্বালিয়ে পড়ে যেত। লু বলেন, তাঁর মনে আছে সি ছিল একজন একনিষ্ঠ পাঠক।
রসিকতা করে লু বলেন, “সি ছিল রসকষহীন মানুষ। পোকার খেলতনা, অন্য সব যুবকদের মত আড্ডা দিতনা কিংবা মেয়ে বন্ধু খুঁজে বেড়াতনা”।
এর পরিবর্তে ১৮ বছরের মাথায় সি তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যান। তিনি কমিউনিস্ট পার্টির যুব ফোরামে যোগ দেন। এবং অনেক বাঁধা পেরিয়ে ২১ বছর বয়সে মূল দলে যোগ দিতে সক্ষম হন।
১৯৯৯ সালে সি ফুজিয়ান প্রদেশের গভর্নর পদে নিযুক্ত হন। ২০০২ সালে তিনি চেচিয়াং প্রদেশে সিপিসি'র সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন। ২০০৭ সালে সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটি পলিট ব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ থেকে ২০১৩ মেয়াদে সি চিন পিং চীনের ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। সিপিসি'র অষ্টাদশ জাতীয় কংগ্রেসে তিনি দলের সাধারণ সম্পাদক ও সিপিসি সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালের ১৪ মার্চ সি চিন পিং গনপ্রজাতন্ত্রী চীনের সপ্তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
(এম মহসীন মিয়া)