একবিংশ শতাব্দীতে বিশ্বে এমন রাষ্ট্রনায়ক খুব কমই আছেন যাদের ক্ষমতায় আরোহণের পূর্বে দীর্ঘ সময় গুহাতে থেকে একজন কৃষক হিসেবে কাজ করতে হয়েছে। এমনি বিরল অভিজ্ঞতার অধিকারী চীনের প্রেসিডেন্ট ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং।
১৯৫৩ সালের ১৫ জুন সি চিন পিং এর জন্ম বেইজিংয়ে। পিতা সি চং সুন, মা ছি সিন। পাঁচ দশক আগে চীনের তথাকথিত সাংস্কৃতিক বিপ্লব সময়কালে রাজধানী বেইজিং পতিত হয় নজিরবিহীন নৈরাজ্যে। যার প্রেক্ষিতে পনর বছর বয়সী সি চিন পিংকে বেছে নিতে হয় পীত গিরিখাত ও পার্বত্যময় অঞ্চলের কঠিন গ্রাম্য জীবন।
১৯৬৮ সালে মাও সেতুং ফরমান জারী করেন যে শহুরে জীবন ছেড়ে গ্রামে যেতে হবে তরুণদের। যেন কৃষকদের কাছ থেকে তাঁরা কঠিন জীবনের দীক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
সি বলেন, তিনি তা শিখেছেন। শুধু তাই নয়, ধ্যান-ধারণা এবং গুনাবলী যা আজকের সিকে গঠন করেছে তাও তৈরি করেছে শৈশবের সেই গুহা জীবন। সি বলতে ভালবাসেন, “আমি চীরকালের জন্য পীত ভূমির সন্তান। লিয়াংজিয়াহে আমার হৃদয়ে প্রোথিত। “লিয়াংজিয়াহ আমাকে তৈরি করেছে।” তিনি বলেন, “১৫ বছর বয়সে আমি যখন এখানে আসি, আমি ছিলাম উদ্বিগ্ন, দ্বিধাগ্রস্ত। ২২ বছর বয়সে আমি যখন গুহা ছেড়ে যাই, আমার জীবনের লক্ষ্য ছিল দৃঢ়। আমি ছিলাম প্রত্যয়ে পূর্ণ।