চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই)-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েই প্রকাশ করছি চীনের কুয়াংচৌ শহর ভ্রমণ নিয়ে আমার অনুভূতি।
২০১৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ৫ দিনের এক সফরে সিআরআই থেকে কুয়াংচৌ যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিলো আমার। সঙ্গে ছিলেন সিআরআই বাংলা বিভাগের আমার সহকর্মী উপ-পরিচালক ছাওয়াইয়ানহুয়া সুবর্ণা এবং সিআরআই শ্রীলংকা বিভাগের দু'জন সাংবাদিক। এদের মধ্যে একজন চীনা ও আরেকজন শ্রীলংকান।
আসলে সিআরআইতে চাকরির সুবাদে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার জন্য মনটা সবসময়ই উদগ্রীব থাকে। অপেক্ষায় থাকি কখন সেই সুযোগ হবে; কখন সুযোগ হবে বিশাল চীনের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করার।
আমি ব্যক্তিগতভাবে ভীষণ ভ্রমণপিপাসু। যখনই সময় পাই তখনই বেড়িয়ে পড়ি ঘুরে বেড়ানোর জন্য। আমি বিশ্বাস করি ভ্রমণে যে অভিজ্ঞতা তৈরি হয় তা জীবনকে করে তোলে পরিপূর্ণ ও পরিপক্ক। জীবনের বহুতল বাস্তবতার বিভিন্ন পরিস্থিতি মোকাবিলায় অভিজ্ঞতা এক বিশাল যাদু হিসেবে কাজ করে।
নোবেল বিজয়ী বিখ্যাত আইরিশ নাট্যকার স্যামুয়েল বেকেটের 'ওয়েটিং ফর গডো' নাটকে পোজো নামের একটি চরিত্র আছে। আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম তখন আমি এ নাটকটিতে অভিনয় করেছিলাম। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন অনেক নাটকে অভিনয় করেছি। তবে আমার দৃষ্টিতে ওয়েটিং ফর গডো নাটকে আমার যে অভিনয় তা আমি এখনও ভুলতে পারি না। এ কথা বলছি এ কারণে যে, পোজো চরিত্রটির একটি বিখ্যাত সংলাপ আছে যা আমার জীবনের দর্শনের সাথে খুব ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। পোজো বলেন, “জীবনে যতবেশি লোকের সাথে পরিচয় হয় আমার, ততবেশি খুশি হই আমি”। আমার জীবন যেন এরকমই । আমিও প্রতিনিয়ত বিভিন্ন লোকের সাথে পরিচিত হতে চাই, বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বেড়াতে চাই। আর এর মধ্য দিয়েই তৈরি হয় আমার সত্যিকার মানসিক বিকাশ। কারণ আমি তখন একদিকে বিভিন্ন মানুষ এবং বিভিন্ন জায়গা সম্পর্কে যেমন জানতে পারি, তেমনি জানতে পারি তাদের রীতিনীতিও।